প্রেমিকার পাঠানো স্ক্রিনশটে আমি যখন দুইটা গ্রামীনফোনের নেটওয়ার্ক দেখেছিলাম, সত্যি বলতে আমার তখন একটু হলেও খারাপ লেগেছিলো।
বলেছিলাম, 'তোমার আরেকটা জিপি সিমের নাম্বার আমার কাছে নেই তো। এমনকি তোমার যে দুটো সিম তুমি আমাকে সেটা জানাওনি পর্যন্ত।'
প্রেমিকা আমাকে
বুঝিয়েছিল, 'দেখ ঐ সিমটা শুধুমাত্র আমার ফ্যামিলি মেম্বারদের জন্য। বাইরের আর কারো সাথে আমি ঐটা দিয়ে কথা বলিনা। তুমি তো জানো, আমি তোমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলি। তখন যেন আম্মু বা আব্বু কল দিয়ে নাম্বার বিজি না পায় তাই ঐ সিমটা।'
এই ব্যাখ্যা আমাকে সন্তুষ্ট করেছিলো। আমি আর কিছু বলিনি।
.
কিন্তু আরো একসপ্তাহ পর যখন আমি জানতে পারি আমার প্রেমিকার আরো একটা ফেসবুক আইডি আছে এবং সে ওটাতে আমাকে ব্লক দিয়ে রেখেছে, তখন আমি আক্ষরিক অর্থেই নিজেকে প্রতারিত ভাবতে শুরু করি। ভীষণ রেগে যাই এবং প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিই।
প্রেমিকা জানায়, 'বিশ্বাস এতো ঠুনকো কোনো জিনিস না যে সামান্য একটা ফেসবুক আইডির জন্য সেটা ভেঙে যাবে। এমনকি সে ভাবেনি আমার ভালোবাসা এতো সস্তা হবে।'
আমি তার কাছে অন্য একটা আইডি রাখার কারণ জানতে চাই।
সে বুঝায়, 'এটা আমার ফ্যামিলি মেম্বারদের জন্য শুধুমাত্র। আমার রিয়েল আইডি তো শুধু তুমিময়, আর সেটা আমার আব্বু আম্মু বা অন্য রিলেটিভরা দেখে ফেললে সমস্যা হবে। তাই ই আলাদা আইডি।'
আমার কিছুটা খারাপ লাগে, তাও আমি মেনে নেই।
.
তার আরো কয়েকদিন পর আমি জানতে পারি আমার প্রেমিকার আরো একজন প্রেমিক আছে। এবং আমার সাথে রিলেশনে আসার আগে থেকেই তার সাথে প্রেম। আমার সেদিন প্রচণ্ড দুঃখ হয়। নিজের ভেতরটা ভেঙেচুরে যায়। পুরো পৃথিবীটাকে অর্থহীন লাগে। ইচ্ছে হয় আত্মহত্যা করে এই কষ্টের ইতি টানি।
.
আমি আমার প্রেমিকার সেই প্রেমিককে জানাতে যাই আমার কথা। খুলে দিতে যাই ধোঁকাবাজ প্রেমিকার মুখোশ।
কিন্তু তার কাছে থেকে আমি জানতে পারি বাকি রহস্য।
আমার প্রেমিকার নাকি আরো ছয় সাতজন ছেলের সাথে রিলেশন আছে। এমনকি তাদের সাথে তার এমন অনেককিছুই হয়েছে যা আমার সাথে হয়নি।
.
সেদিন আমি বাসায় ফেরার পথে অনেকগুলা ঘুমের ঔষধ কিনে আনি। আমার নিজেকে এই পৃথিবীর সবচাইতে বড় প্রতারণার স্বীকার মনে হয়।
আমি সিরিয়াসলি সুইসাইড করার সিদ্ধান্ত নেই।
.
সাহসের অভাবে সুইসাইড করতে পারিনা। প্রেমিকাকে ফোন, ফেসবুক, হোয়াটসএপ, সবখানেই ব্লক দেই। ব্লক দেয়ার আগে একটা মেসেজ পাঠাই শুধু।
"তুমি আর কতো ছেলের জীবন ধ্বংস করবা? প্লিজ এবার বাদ দাও। আর আমার সাথে এই জীবনে কন্ট্যাক্ট করার কোনো ট্রাই কইরো না। কারণ তোমার কিচ্ছু আর আমার কাছে গোপন নেই। আমি তোমার সম্পর্কে যাবতীয় সবকিছুই জেনে ফেলেছি।"
.
কিন্তু । সেটা টের পাই আরো দুইদিন পরে।
.
আমি জানতে পারি আমার প্রেমিকা বিবাহিত। তার দুইটা বাচ্চা আছে। ছোট মেয়েটার বয়স এই মার্চে তিন হবে।
#সংগৃহীত
বলেছিলাম, 'তোমার আরেকটা জিপি সিমের নাম্বার আমার কাছে নেই তো। এমনকি তোমার যে দুটো সিম তুমি আমাকে সেটা জানাওনি পর্যন্ত।'
প্রেমিকা আমাকে
বুঝিয়েছিল, 'দেখ ঐ সিমটা শুধুমাত্র আমার ফ্যামিলি মেম্বারদের জন্য। বাইরের আর কারো সাথে আমি ঐটা দিয়ে কথা বলিনা। তুমি তো জানো, আমি তোমার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলি। তখন যেন আম্মু বা আব্বু কল দিয়ে নাম্বার বিজি না পায় তাই ঐ সিমটা।'
এই ব্যাখ্যা আমাকে সন্তুষ্ট করেছিলো। আমি আর কিছু বলিনি।
.
কিন্তু আরো একসপ্তাহ পর যখন আমি জানতে পারি আমার প্রেমিকার আরো একটা ফেসবুক আইডি আছে এবং সে ওটাতে আমাকে ব্লক দিয়ে রেখেছে, তখন আমি আক্ষরিক অর্থেই নিজেকে প্রতারিত ভাবতে শুরু করি। ভীষণ রেগে যাই এবং প্রেমিকার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিই।
প্রেমিকা জানায়, 'বিশ্বাস এতো ঠুনকো কোনো জিনিস না যে সামান্য একটা ফেসবুক আইডির জন্য সেটা ভেঙে যাবে। এমনকি সে ভাবেনি আমার ভালোবাসা এতো সস্তা হবে।'
আমি তার কাছে অন্য একটা আইডি রাখার কারণ জানতে চাই।
সে বুঝায়, 'এটা আমার ফ্যামিলি মেম্বারদের জন্য শুধুমাত্র। আমার রিয়েল আইডি তো শুধু তুমিময়, আর সেটা আমার আব্বু আম্মু বা অন্য রিলেটিভরা দেখে ফেললে সমস্যা হবে। তাই ই আলাদা আইডি।'
আমার কিছুটা খারাপ লাগে, তাও আমি মেনে নেই।
.
তার আরো কয়েকদিন পর আমি জানতে পারি আমার প্রেমিকার আরো একজন প্রেমিক আছে। এবং আমার সাথে রিলেশনে আসার আগে থেকেই তার সাথে প্রেম। আমার সেদিন প্রচণ্ড দুঃখ হয়। নিজের ভেতরটা ভেঙেচুরে যায়। পুরো পৃথিবীটাকে অর্থহীন লাগে। ইচ্ছে হয় আত্মহত্যা করে এই কষ্টের ইতি টানি।
.
আমি আমার প্রেমিকার সেই প্রেমিককে জানাতে যাই আমার কথা। খুলে দিতে যাই ধোঁকাবাজ প্রেমিকার মুখোশ।
কিন্তু তার কাছে থেকে আমি জানতে পারি বাকি রহস্য।
আমার প্রেমিকার নাকি আরো ছয় সাতজন ছেলের সাথে রিলেশন আছে। এমনকি তাদের সাথে তার এমন অনেককিছুই হয়েছে যা আমার সাথে হয়নি।
.
সেদিন আমি বাসায় ফেরার পথে অনেকগুলা ঘুমের ঔষধ কিনে আনি। আমার নিজেকে এই পৃথিবীর সবচাইতে বড় প্রতারণার স্বীকার মনে হয়।
আমি সিরিয়াসলি সুইসাইড করার সিদ্ধান্ত নেই।
.
সাহসের অভাবে সুইসাইড করতে পারিনা। প্রেমিকাকে ফোন, ফেসবুক, হোয়াটসএপ, সবখানেই ব্লক দেই। ব্লক দেয়ার আগে একটা মেসেজ পাঠাই শুধু।
"তুমি আর কতো ছেলের জীবন ধ্বংস করবা? প্লিজ এবার বাদ দাও। আর আমার সাথে এই জীবনে কন্ট্যাক্ট করার কোনো ট্রাই কইরো না। কারণ তোমার কিচ্ছু আর আমার কাছে গোপন নেই। আমি তোমার সম্পর্কে যাবতীয় সবকিছুই জেনে ফেলেছি।"
.
কিন্তু । সেটা টের পাই আরো দুইদিন পরে।
.
আমি জানতে পারি আমার প্রেমিকা বিবাহিত। তার দুইটা বাচ্চা আছে। ছোট মেয়েটার বয়স এই মার্চে তিন হবে।
#সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment