Saturday, November 23, 2019

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে কি পেঁয়াজের দাম কমবে?

পেয়াজের দাম কমেছে একটু। তার দাম এখনো ভালোই আছে। পেঁয়াজ আমদানির পর দাম কমার কথা ছিল কিন্তু আমাদের দেশের একটি নিয়ম আছে। এখানে দাম কমে না আরও বাড়ে। যাই হোক পেয়াজের দাম কিছুদিন আগে ছিল আকাশ সমান। এটা যেন শুধু বড়লোকদের খাবার হয়ে গিয়েছিল। পেয়াজের সমস্যা হয়েছে আমাদের সেই সেপ্টেম্বর মাসে। আর সরকার বিদেশ থেকে আমদানি করেছে এই নভেম্বর মাসে। একটি প্রশ্ন রেখে গেলাম। কেন এত দেরি করলেন? আমাদের অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে দাম বাড়ার কারনে। তাছাড়া আমাদের দেশের কিছু খারাপ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ জমিয়ে রেখেছিল যাতে দেশে শঙ্কট সৃষ্টি হবে আর বেশি দামে বিক্রি করা যাবে। পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের কম কষ্ট করতে হয় নি। আমার জীবনে পেয়াজের প্রভাব জানাচ্ছি এখন। 

প্রথমত দোকানে এখন শুধু মরিচ দেয়, পেঁয়াজ না। ঝালমুড়িতে  এক ফোটা পেয়াজের নির্যাস পেলাম গতদিন। তাছাড়া পেয়াজের ব্যবহার কম হচ্ছে এমন সময়। আমি যেখানে যাই, হোটেল বা দোকানে, দেখি পেঁয়াজ নাই। আমার মনে আছে অনেক ঘটনা। ঢাকার দামি হোটেলগুলি আপনাকে শসা বা টমেটোর সালাদ সব সময় দেয় না। তারা কাস্তমার বুঝে দেয়। মানে তাদের খারাপ ও কু কাজের একটি হল কাস্তমারদের এক দাঁড়িপাল্লায় না মাপা। তো এখন তারা পেঁয়াজ পাচ্ছে না। অনেক দিন বাইরে খাই না তাই জানি না তারা কি দিচ্ছে। নিশ্চয় এবার সবাইকে শসার সালাদ দিতেই হচ্ছে। তো প্রায় ২ বছর আগে আমি উত্তরা একটি হোটেলে যাই সকালে খেতে। প্রায় ৫০-৬০ টাকার মত খাবার খাই। তাতেও তারা আমাকে সালাদ দিত পারে নি। আর আমি একজন অ্যাথলেট হিসেবে বলেন আর যাই বলেন পেঁয়াজ খেতে পছন্দ করি। আমাকে সালাদ দিচ্ছে আর আমি প্লেট ক্লিন করে ফেরত দিচ্ছি। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর লোকটি আমাদে শসার সালাদ এনে দেয়। বিষয়টি মজা লাগছিল আমার। আজব লোকজন তারা। কাস্তমারদের সাথে এমন করে। যাই হোক দেশে পেয়াজের ব্যবহার কমেছে। তারা ভেবেছিল পেঁয়াজ বন্ধ করে অচল করে দেবে সবকিছু। কিন্তু সেটা হয় নি। মানুষ ভালো আছে। আমার সবচেয়ে অবাক লেগেছে যখন দেখি হোটেল, ফুটপাত ও অন্যসব দোকান থেকে পেঁয়াজ না থাকায়। আগে কিন্তু কাচা মচির আর পেঁয়াজ দিত সব জায়গা। এখন অনেকে শুধু মরিচ দেয়। কিছু খেতে গেলেই মরিচ দেয়। দারুন না। তাছাড়া ফেসবুকে পেঁয়াজ নিয়ে চলছে কৌতুক ও হাস্যরস। বর্তমানে যুগে আমরা এমনটি করি। এটা ঠিক নয়। বিপদে তামাশা নয়, আল্লাহকে ডাকা উচিত আমাদের। ইউটিউবে কিছু পেয়াজের ভিডিও দেখলাম। এগুলি অনেক ফানি করেছে। আমাদের উচিত ছিল প্রতিবাদ করাও বেশি করে আল্লাহকে স্মরণ করা। গরীবেরা গ্রামে দেখি পেঁয়াজ আর কাচা মরিচ দিয়ে এক প্লেট ভাত ফিনিস করে দেয়। আমিও খেয়েছি এরকম। খেতে কিন্তু ভালোই লাগে। তবে বর্তমানে পেয়াজের কারনে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
তো এটাই ছিল আজকের লেখা। একটি কথা বলতে চাই। সেটি হল দাম বাড়ালে অন্য কিছুর বাড়ান যাতে ভালো কাজ হবে। সিগারেটের দাম বাজেট করে বাড়াতে হত আর অন্য জিনিসের দাম নিজে নিজে বাড়বে এটা তো মানা যায় না। আর সিগারেটের দাম বাড়লে সবাই প্রতিবাদ করবেন কিছুদিন আগে দেখলাম আর পেয়াজের দাম বাড়লে তামাশা করবেন কেন? দেশের যত নেশা জাতীয় জিনিস আছে সবকিছুর দাম বাড়ানো হোক। পেয়াজের মত দাম বাড়লে দেশ বাঁচবে। কিন্তু জানি এমনটি হবে না। কারন আমাদের দেশের এমপি মন্ত্রীরা সিগারেট খায়। সেদিন আমরা সবাই দেখলাম একটি লাইভ অনুষ্ঠানে সিগারেট খেতে। তো কি আর বলব। শেষ একটি কথা বলতে চাই "রাগ হলে রাস্তায় না ফেসবুকে লিখবা অথবা আমার মত ব্লগে লিখবা। মানুষ এখন রাস্তায় নামা ভুগে গেছে।"

No comments:

Post a Comment