সকালে শাপলা আর ঝড়ের নৌকা ভ্রমণের পর আমরা বাসায় ফিরি ৮টার সময়। এসে আমরা ব্রেকফাস্ট করি। জনি ভাইয়া আর নাদিয়া আপু দুইজনেরই ভালো লেগেছে আমাদের গ্রাম। তবে তাদের একটি সমস্যা। সেটি হল কারেন্ট থাকে না। তাদের মোবাইল আর ল্যাপটপের চার্জ অলরেডি কমে এসেছে। সেটা কোন সমস্যা না। জনি ভাইয়া জেনে বুঝেই একটি সোলার প্যানেল আর ব্যাটারি নিয়ে এসেছে। এতে চার্জ দেওয়া যায়। তারা একটি ব্যাটারি চার্জ দেয় ও অপরটি ব্যবহার করে। এখন আমরা আম পেড়ে খাব। গ্রামের একটি ছেলে খুব ভালো গাছে উঠতে পারে। তাকে ভাড়া করলাম। সে আম পাড়তে থাকে। আমি, আপু আর ভাইয়া গাছের নিচে দাড়িয়ে দেখতে থাকি। অনেক গুলা আমগাছ। ২টি গাছ থেকে প্রায় ভালো মানের আম পাওয়া গেল। সারা দিন খেলেও শেষ করা যাবে না।
আমরা আম খেতে থাকি। জনি ভাইয়া খুব তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছিলেন। তারপর নাদিয়া আপু আমের জুস, আম মাখানো ইত্যাদি বানালেন। এগুলির স্বাদ এত ভালো হয় সবসময় যা বলে বোঝাতে পারব না। আমাদের চাপ কল পুকুর পাড়ে। তারপাশে গোছলখানা। আর পায়খানা একটু দুরে। গোছলখানা বা বাথরুমে উপরটা ফাকা। মানে গ্রাম্য বাথরুম যেমন হয় আর কি। পুকুরেও মাঝে মাঝে আমরা গোছল করে থাকি। ভালো লাগে। তো আম খাওয়ার পর আমি জনি ভাইয়া আর নাদিয়া আপু তিনজনে মিলে ক্রিকেট খেলতে থাকি। ক্রিকেট নাদিয়া আপুর খুব প্রিয়। তার প্রিয় দেশ হল পাকিস্তান। জনি ভাইয়া আর আমি অবশ্য ভারত করি। খেলার সময় খুব ঝগড়া হয় আমাদের। বেশি রেগে যায় নাদিয়া আপু। যাই হোক আজ আপু অবশ্য প্রথম বলেই আউট হলেন জনি ভাইয়ার বলে। তারপর ভাইয়া আর আমি ক্ষেপাতে থাকি তাকে। মোটামুটি ভালোই খেলা হল আমাদের। ভাইয়া ভালোই শট মারতে পারে। খেলতে খেলতে ভাইয়ার শট নাদিয়া আপু ঠেকাতে যেয়ে আপুর পা কেটে গেল। এখন আপু কান্না শুরু করল। আশেপাশে ডাক্তারও নেই। তবে জনি ভাইয়া এবার ডাক্তার হয়ে আমাদের কাছে আসলো। রুগী নাদিয়া আপু। গ্রামে আসার সময় ভাইয়া ফাস্টএইড বক্স সাথে নিয়ে এসেছিলেন। এখন তার ব্যবহার করতে শুরু করলেন এখানে। যাই হোক আমাদের খেলা এখানেই শেষ হল। কান্নাকাটি করে জিতল আপাদের আপু আর হারলো ডাক্তার জনি ভাই। আমি গ্রাম্য এক ডাক্তারের কাছে অবশ্য নাদিয়া আপুকে পরে নিয়ে গেছিলাম। নাদিয়া আপু এবার রেগে আছে। ভাইয়াকে উচিত একটি শিক্ষা দেবে সে। প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুজতে থাকে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কারন ভাইয়া আর আমি জানি ভালো করেই যে আপু কেমন। তাই সাবধানে আমরা আছি। যাই হোক এভাবে চলল। আপু বুদ্ধি খুঁজছে।
গোছলের সময় আপু পুকুরে নামল। শেখানে আমিও গোছল করি। অনেক মজা করি। পুকুরের সিঁড়ির পাশে চিংড়ি মাছ ধরল আপু গোছলের সময়। আর একটি কলাগাছের ভেলা আপুর জন্য রেখেছিলাম। সারাপুকুর আপু এটি নিয়ে সাঁতার কাটলেন। ও হ্যাঁ জনি ভাইয়া গোছল করলেন অবশ্য বাথরুমে পরে। পুকুরে যদিও করতেন কিন্তু কোন একটি কারনে করা হল না। আমাদের গোছল শেষ। আমরা উঠে আসলাম। আপু যেন কি খুঁজছিল। খেয়াল করি নি। পরে বাথরুম থেকে একটি আওয়াজ পাই। আরে না আপুর আওয়াজ না। জনি ভাইয়া গোছল করছিল তার আওয়াজ। চিৎকার শুনে দৌরে যাই আমি। যেয়ে যা দেখি তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। জনি ভাইয়া ভেতর থেকে বলছে। কে যেন ভাইয়ার জামা কাপড় এমনকি তোয়ালে নিয়ে গেছে। ভাইটি এখন খুব অসহায়।
ওদিকে নাদিয়া আপুকেও পেলাম না। পরে নিজের গামছা জনি ভাইয়াকে দিলাম। এটি দিয়ে গা মুছে তারপর পড়ে বের হয়ে আসে ভাইয়া। অসহায় ভাইয়া আমার। যাই হোক নাদিয়া আপু পরে আমাকে জানালো যে কাজটি সে করেছে।
বাথরুমের উপরের ফাকা জায়গা থেকে জনি ভাইয়ার কাপড় চুরি করে আপু। ভাইয়া বুঝতে পারে নি যে এমন কিছু করা যায়। এভাবে আপু ভাইয়াকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নেয়। জনি ভাইয়া এখন লুঙ্গি পড়েছে। আজ সারাদিন লুঙ্গি পড়ে আছে। আপু যেন সারাদিন মিটিমিটি করে হাসছে।
আমরা আম খেতে থাকি। জনি ভাইয়া খুব তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছিলেন। তারপর নাদিয়া আপু আমের জুস, আম মাখানো ইত্যাদি বানালেন। এগুলির স্বাদ এত ভালো হয় সবসময় যা বলে বোঝাতে পারব না। আমাদের চাপ কল পুকুর পাড়ে। তারপাশে গোছলখানা। আর পায়খানা একটু দুরে। গোছলখানা বা বাথরুমে উপরটা ফাকা। মানে গ্রাম্য বাথরুম যেমন হয় আর কি। পুকুরেও মাঝে মাঝে আমরা গোছল করে থাকি। ভালো লাগে। তো আম খাওয়ার পর আমি জনি ভাইয়া আর নাদিয়া আপু তিনজনে মিলে ক্রিকেট খেলতে থাকি। ক্রিকেট নাদিয়া আপুর খুব প্রিয়। তার প্রিয় দেশ হল পাকিস্তান। জনি ভাইয়া আর আমি অবশ্য ভারত করি। খেলার সময় খুব ঝগড়া হয় আমাদের। বেশি রেগে যায় নাদিয়া আপু। যাই হোক আজ আপু অবশ্য প্রথম বলেই আউট হলেন জনি ভাইয়ার বলে। তারপর ভাইয়া আর আমি ক্ষেপাতে থাকি তাকে। মোটামুটি ভালোই খেলা হল আমাদের। ভাইয়া ভালোই শট মারতে পারে। খেলতে খেলতে ভাইয়ার শট নাদিয়া আপু ঠেকাতে যেয়ে আপুর পা কেটে গেল। এখন আপু কান্না শুরু করল। আশেপাশে ডাক্তারও নেই। তবে জনি ভাইয়া এবার ডাক্তার হয়ে আমাদের কাছে আসলো। রুগী নাদিয়া আপু। গ্রামে আসার সময় ভাইয়া ফাস্টএইড বক্স সাথে নিয়ে এসেছিলেন। এখন তার ব্যবহার করতে শুরু করলেন এখানে। যাই হোক আমাদের খেলা এখানেই শেষ হল। কান্নাকাটি করে জিতল আপাদের আপু আর হারলো ডাক্তার জনি ভাই। আমি গ্রাম্য এক ডাক্তারের কাছে অবশ্য নাদিয়া আপুকে পরে নিয়ে গেছিলাম। নাদিয়া আপু এবার রেগে আছে। ভাইয়াকে উচিত একটি শিক্ষা দেবে সে। প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুজতে থাকে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কারন ভাইয়া আর আমি জানি ভালো করেই যে আপু কেমন। তাই সাবধানে আমরা আছি। যাই হোক এভাবে চলল। আপু বুদ্ধি খুঁজছে।
গোছলের সময় আপু পুকুরে নামল। শেখানে আমিও গোছল করি। অনেক মজা করি। পুকুরের সিঁড়ির পাশে চিংড়ি মাছ ধরল আপু গোছলের সময়। আর একটি কলাগাছের ভেলা আপুর জন্য রেখেছিলাম। সারাপুকুর আপু এটি নিয়ে সাঁতার কাটলেন। ও হ্যাঁ জনি ভাইয়া গোছল করলেন অবশ্য বাথরুমে পরে। পুকুরে যদিও করতেন কিন্তু কোন একটি কারনে করা হল না। আমাদের গোছল শেষ। আমরা উঠে আসলাম। আপু যেন কি খুঁজছিল। খেয়াল করি নি। পরে বাথরুম থেকে একটি আওয়াজ পাই। আরে না আপুর আওয়াজ না। জনি ভাইয়া গোছল করছিল তার আওয়াজ। চিৎকার শুনে দৌরে যাই আমি। যেয়ে যা দেখি তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। জনি ভাইয়া ভেতর থেকে বলছে। কে যেন ভাইয়ার জামা কাপড় এমনকি তোয়ালে নিয়ে গেছে। ভাইটি এখন খুব অসহায়।
ওদিকে নাদিয়া আপুকেও পেলাম না। পরে নিজের গামছা জনি ভাইয়াকে দিলাম। এটি দিয়ে গা মুছে তারপর পড়ে বের হয়ে আসে ভাইয়া। অসহায় ভাইয়া আমার। যাই হোক নাদিয়া আপু পরে আমাকে জানালো যে কাজটি সে করেছে।
বাথরুমের উপরের ফাকা জায়গা থেকে জনি ভাইয়ার কাপড় চুরি করে আপু। ভাইয়া বুঝতে পারে নি যে এমন কিছু করা যায়। এভাবে আপু ভাইয়াকে বিপদে ফেলে প্রতিশোধ নেয়। জনি ভাইয়া এখন লুঙ্গি পড়েছে। আজ সারাদিন লুঙ্গি পড়ে আছে। আপু যেন সারাদিন মিটিমিটি করে হাসছে।
No comments:
Post a Comment