Tuesday, October 2, 2018

আত্মহত্যা করার সেরা উপায় বের করলাম অনেক রিসার্চ করে

অনেক গবেষণা করে খুজে পেলাম আসল অস্ত্র। তার আগে আমাদের সাধারন উপায়গুলি একবার দেখি।

গলায় দরি, বিষ খাওয়া, ঘুমের বড়ি এসবের দ্বারা হয়ত সাক্সেস হওয়া যায় কিন্তু আপনি হয়ত বেঁচে ফিরে আসবেন অথবা আপনি সাহস পাবেন না। আর পারলে ভালো। এখন আমার এসব থেকে আরও দারুন বুদ্ধি আছে। এই যেমন আপনি গলায় দরি নিলে, বিষ খেলে বা এমন কিছু করে মারা গেলে অনেক কিছু ঘটবে। আপনার পরিবারের অনেক ক্ষতি হতে পারে। অনেকে আপনাকে খারাপ চোখেও দেখতে পারে। আরও অনেক কিছু। কেস ফাইল ঘাঁটলে এরকম অনেক জিনিস দেখা যায়। আবার আপনি ফিরে আসলে দ্বিতীয়বার হয়ত সাহস পাবেন না এসব করে মরার। তো কি দরকার এসব করার। হ্যাঁ জানি সবাই আমরা অনেক কষ্ট পাই জিবনে। কিন্তু এভাবে চলে যাওয়া ঠিক নয়।
আজ তাই আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম একটি সেরা এবং ১০০% মৃত্যুর গ্যারান্টি পদ্ধতি। আসলে আমি এসব নিজের কথা ভেবে অনেক রিসার্চ করে বের করি। আর সরকার হয়ত আমাকে সাজা দেবে কারন আমি আপনাদের মরে যাওয়ার কাজে সাহায্য করছি। এটা অন্যায় কাজ। এতে আমার কিছু যায় আসে না। কারন আমি অলরেডি নিজের জীবনের মায়া ছেরে দিছি। কি লাভ বেঁচে। তো এখন যদি তারা আমাকে সাজা দেয় দিক। আর সাজা পেতে হলে তো আমাকে বেঁচে থাকতে হবে তাই না।
তো শুরু করা যাক। আপনি এক কাজ করুন। আপনার শরীরে কিছু রোগ প্রবেশ করিয়ে দিন। এমন কিছু রোগ যা প্রবেশ করলে মৃত্যু নিশ্চিত আপনার। এরকম অনেক রোগ গুগলে পাবেন। আমাদের সাধারন অসুখ গুলি থেকেও মারাত্মক আকার ধারন করে আমাদের মৃত্যু হতে পারে। মানুষ মরণশীল। কেউ আগে মরে কেউ পড়ে। আর এই যুগে অসুখে আক্রান্ত হওয়া অনেক সহজ। আমাদের যারা আমার মত মরে যেতে চাই তাদের উচিত এরকম কিছু রোগ শরীরে প্রবেশ করানো।
হ্যাঁ এটাও সত্য অসুখ হলে এক সময় হয়ত কষ্ট সহ্য না করে আমি বলব যে আর পারছি না। বাচাও। সাধারন অসুখ হলে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিন্তু মরণ নিশ্চিত এমন রোগ হলে বাচার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং মরণ নিশ্চিত।
আমি মরতে চাই বললেই মরা যায় না। বিষ খেতে চাইলেই খাওয়া যায় না। তবে আমরা চাইলে আমাদের প্রতিদিনের রুটিন একটু চেঞ্জ করে আসতে পারি। একদিন একটু সময় করে এইডস রোগীর শরীর থেকে একটু রক্ত নিজের শরীরে প্রবেশ করিয়ে নিতে পারি। আর ঔষধ খেয়ে ভুলে যেতে পারি অতীত। মানে আমি যে আমার শরীরে এইডস প্রবেশ করিয়েছি সেটি ভুলে গেলে টেনশন বা চিন্তা হবে না। আবার চাইলে আমরা লিভার কিডনি এসবের ক্ষতি করে এমন খাবার বেশি করে খেতে পারি। কি খেলে হার্ট এটাক হয় তাই খেতে পারি। আরো অনেক মজার উপায় আছে।
আমাদের যুব সমাজের অনেকেি সিগারেট হেরোইন খেয়ে থাকি। নিকোটিনে নাকি একদিন মারা যাব। কিন্তু হায় আমি বৃদ্ধ দাদুকেও এক টান সিগারেট নিতে দেখেছি। সুতরাং তিনি তো অনেক বছর বেঁচে আছেন। তাহলে নেশা করার জিনিস আমাদের মৃত্যু ঘটায় না! হলেও হয়ত কম। জন্ম থেকে যে লোকটিকে আমি নিয়মিত সিগারেট খেতে দেখেছি সে আজও বেঁচে আছে। আর তুমি ২ দিন নেশা করে মারা যেতে চাও। এটা মরার সঠিক পথ নয়। সঠিক পথে হাঁটলে সফলতা আসবেই।
এবার সঠিক পথ সম্পর্কে জানি। চলুন আনারস আর দুধ এক সাথে খাই। কি মরেছেন? নাকি হাসপাতালের বেডে শুয়ে রিলিজ সয়ার দিন গুনছেন? এক কাজ করুন সাইন্স ব্যবহার করে মারা যাই চলুন। প্রথমে দরকার একটি রোগ যেটি শরীরে প্রবেশ করলে সারা জীবন থাকবে। তাহলে মারা যাব সহজে। তাছাড়া আপনার টাকা থাকলে কিলার হায়ার করে নিজেই মারা যেতে পারেন।
আমি যদি এখন ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে সারা দিন বাইরে রোদে থাকি কিছুদিন, ইনশাআল্লাহ জন্ডিস হবেই। তারপর লিভার খারাপ করার জন্য খারাপ খাবার খেতে থাকলে দেখবেন জন্ডিস আরও মারাত্মক আকার ধারন করেছে।
আমি যদি আজ ফুটবল খেলতে যেয়ে নিজের পা কেটে আনি আর সেটা ইনফেকশন এ পরিণত করি তালেও মরার চান্স আছে একটু।
আর পানি কম খান। না খেয়ে থাকলে আরও ভালো। কিডনি শেষ হবে অকালে।
মরতে মরতে বেঁচে ফিরতে ফিরতে মরার সময় টেনশন হয়। এবার যদি বাঁচি তাহলে ক্যামনে হবে! এখন বাইরে যান আর গাড়ি দেখে ঝাপ দিন। মরে না গেলেও সুন্দরী নার্স এর স্পর্শ পাবেন সিউর থাকেন।


আমি কাজী শামীম শাহারিয়ার ইসলাম প্রীতম আপনাদের কাছে দুয়া কামনা করছি। হয় আল্লাহ আমাকে আমি যা চাই টা দিক, না হলে আমি যেন খুব জলদি মারা যেতে পারি।

1 comment: