এই সপ্তাহ অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। বলতে পারেন সারাদিনই বৃষ্টি হয়। আর আমি সারা দিন ঘরে বসে। ক্লাসের সময় যাই ক্যাম্পাসে। তারপর বাসায় আসি আর প্রিয় খাটে শুয়ে শুয়ে নেট চালাই। বৃষ্টি নামলে কেমন যেন আনন্দে ভরে যায় মনটা। আর ঠাণ্ডা পড়লে ক্লান্তি লাগে না। অন্যদিনের মত ক্লাস করেছি গতকাল। সকাল সারে আটটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা। মাঝে একটি ব্রেক ছিল। হালকা নাস্তা করি। তবে দুপুরে ছুটি পাই নি খাওয়ার। একটানা ক্লাস শেষে সবাই যেন খুব ক্লান্ত। আমি বাসায় এসে বসি সেই কম্পিউটারে আর ক্লাসে কিছু কাজ দিয়েছিল সেটা সাবমিট করি। আসলে আমার দারা তেল মারা হয় না। তাই আমি সোজা সাপটা কাজ করি। আর এই জন্য হয়ত আমাকে একটু আলাদা করেই রাখে সবাই। তেমনি দেখলাম আজ। সকালে একটু দেরিতে ঘুম ভাঙ্গে। আম্মু ডেকে ডেকে আমাকে উঠায়। ক্লাস সারে আটটায় আর আমি উঠি ৮.১৫ তে। খুব জলদি উঠে যাই ক্লাসে। দেখি সার একা দাড়িয়ে। কেউ ক্লাসে নাই। পড়ে এক বড় ভাই আমাদের সাথে কোর্স নিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে ক্লাসে যাই। বুঝলাম গতকাল সবাই ক্লাসে থেকে থেকে অনেক ক্লান্ত। তাছাড়া সব সেমিস্টারে অন্যদের থেকে ২ সপ্তাহ পড়ে আমাদের ব্যাচের ক্লাস শুরু হয়। আগে যেয়েও লাভ নেই। সারগুলিকে তেল মেরে মেরে ঠিক করে নিচ্ছে আর সিজিপিয়েও পাচ্ছে। যাক এসব আর বললাম না। কারন আমি তেল মারতে পারি না আর কেউ জানতে পারলে আমাকে বাঁশ দেবে। তবে একদিন সত্য প্রকাশ হবে এটা বিশ্বাস করি। আজ সকালে ক্লাসে ভালোই লাগছিল। অনেকদিন পর একা। কেউ নেই। সার আমি আর একজন বড়ভাই ক্লাসে। আর মজার বেপার হয় যেহেতু কেউ ছিল না তাই আমাকে অন্যদিনের মত ক্লাসে থাকতে হয় নি। যাই হোক পরের ক্লাস আর হয় নি। ছেলেরা তাদের মোবাইল বন্ধ করে করে রেখেছে সকাল থেকে। ফোনেও পাই নি। বাসায় আসি সারে দশটায় আর বৃষ্টি আবার শুরু হয় সকাল এগারোটা থেকে। আমি যেখানে থাকি এই জায়গাটা গ্রামের মত। ভালো লাগে মুক্ত পরিবেশ। ভালো লাগে নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে। তাই খুজেখুজে এমন সুন্দর জায়গা আমি এসেছি। ঢাকার পাশেই আশুলিয়া আর আমি থাকি এখানেই। এখান থেকে যখন খুশি ঢাকা যেতেও পারছি। ভালোই লাগছে। আর এখন যখন লিখতেছি বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। পাশের রাস্তাটা নদী হয়ে গেছে। আর আমি দেখছি জানালা দিয়ে। আশেপাশের মানুষদের একটু সমস্যা হবে হয়ত আজ। তাতে আমার কি। আমি তো আজ বাইরে বের হব না। ভাবছি লেখা শেষে ঘুম দেব লম্বা একটি। বৃষ্টি দেখলে ঘুম আসে। আরও মনে পড়ে পুরানো সময়গুলির কথা। দুপুরে গোছল দিলাম, তারপর খেলাম। এখন বিশ্রাম নেই আর বাজে সারে তিনটা। আরেকটু পর আজান দেবে। এই গ্রামটা খুব খারাপ। আমি প্রায়ই আজানের শব্দ ঘর থেকে পাই না। এদের মাইক অনেক কম আওয়াজ হয়। হয়ত গাছপালা বেশি তাই। আমার আজান খুব ভালো লাগে। আর বেশি দিন এই গ্রামে থাকব না। তারপর যখন চলে যাব ভালো একটি বাসা নেব যেখান থেকে আজান শুনতে পারব সব সময়
No comments:
Post a Comment