Saturday, May 11, 2019

সবাই রোজা রেখে তারাবী পড়তে পারে না, কেউ কেউ মসজিদে বসে শুয়ে কোরআন শোনে

আসসালামুয়ালাইকুম। চলছে মাহে রমাযান আর এই মাসে অনেক ফজিলত। যারা ইসলামকে ভালবাসে, যারা আল্লাহকে ও রাসুলকে ভালবাসে তারা এই মাসে বেশি বেশি নামাজ রোজা করে পুণ্য লাভের আশায়। তারাবীর নামাজ রমযানে রাতে আমরা পড়ি। এর ভেতর আমাদের অন্যতম আকর্ষণের বিষয় হচ্ছে খতম তারাবী। পবিত্র কোরআন শরীফ খতম দেয়া হয়ে থাকে আমাদের দেশে নামাজ পড়ার মাধ্যমে। যারা রোজা রেখে অসুস্থ হয়ে যায় তারা অনেকে তারাবীর নামাজ পরে না। আবার অনেকে আছে ৪ রাকাত, ৮ রাকাত বা ১২ রাকাত পড়ে চলে যায় বাসায়। আমাদের দেশের সব মসজিদে একপ্রকার উৎসবের সৃষ্টি হয় রমজান মাসে। আমরা দেখি ৪ রাকাত নামাজ এর পর কিছু লোক চলে যায় বেরিয়ে। ৮ রাকাত ও বারো রাকাত পর অনেকে চলে যায়। তারপর শুধু তারাই থাকে যারা ২০ রাকআত নামাজ পড়বে। সবাই কিন্তু চলে যায় না। কেউ কেউ থেকে যায়। কোরআনকে যারা ভালবাসে তারা নামাজ না পড়তে পারলেও পিছনে বসে বসে শুনতে থাকে। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি এশার নামাজের পর মসজিদের বারান্দায় বসে বা শুয়ে আছে। বাড়ি না যেয়ে ওখানেই রেস্ট নিচ্ছে। মসজিদের সকল মুসল্লি থেকে হয়ত তারা একটু আলাদা। তাদের ভালো লাগে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শুনতে। কি মধুর কি অপূর্ব সুর। খুব ভালো লাগে। মনে প্রশান্তি বয়ে আনে।

আমাদের মসজিদে আমি প্রতিবার দেখি এরকম কিছু লোক মসজিদের ভেতর আছে। তারা বসে শুয়ে শুনতেছে। আমি সব সময় তাদের দেখেছি কখনো তাদের কিছু আস্ক করি নি। তারপরও ভালো লাগে এমন কোরআন প্রেমি মানুষদের। তাদের ২০ রাকআত দাড়িয়ে পড়ার ইচ্ছে নেই, হয়ত নেই শক্তি। হয়ত পা ধরে আসে। সারাদিন রোজা থাকার পর আর হয়ত শরীর চলে না। তারপরও তারা আসে কোরআনের টানে। শুনতে তিলাওয়াত। প্রতিদিন শুনে সেই প্রথম রোজা থেকেই। আপনি চাইলে আপনার আশেপাশের মসজিদে তারাবীর সময় এমন কিছু মানুষ দেখতে পাবেন। আজ রাতে নামাজের সময় মসজিদে যান। খেয়াল রাখুন, অবশ্যই দেখতে পাবেন এমন কিছু লোক। তাদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে।

ইদানিং মসজিদে আমরা দেখি বাচ্চাদের নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে থাকে। এটা ঠিক হয়। মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে সবাই আসতে পারে। আল্লাহ কাউকে আসতে নিষেধ করেন নি। কিন্তু আমরা আইন করে নিষেধ করি। এটা ঠিক নয়। বাচ্চাদের আসতে বলবেন। একটু বুঝিয়ে বললেই তারা সুনবে। এই বয়সে তাদের যা সিখাবেন তাই তো শিখবে তাই না। এই টুকু আমার অনুরোধ থাকল আপনাদের কাছে। আর যদি দেখেন মসজিদে কেউ বাচ্চাদের সাথে খারাপ আচরণ করছে তাহলে একটু তাকে নিষেধ করবেন। এটা ঠিক নয়। এসব করলে তাদের মনে আঘাত হানে। পরে আর তাদের মসজিদে আসতে ইচ্ছে করবে না।

তারাবীর নামাজ পরে অনেকে চলে যান আমি তাদের অনুরোধ করব একটু কষ্ট করে বিতরের পরে যাবেন। আমার মনে আছে ছোটবেলা আমি ২০ রাকআত পরে আর পড়তে পারতাম না। তখন চলে জেতাম। ৩-৪ দিন এমন যাওয়ার পর আমাকে মুরুব্বিরা রাগ করলেন। সেখান থেকে আমি শিক্ষা লাভ করি যে বিতরের নামাজ পড়তে হবে। আপসোস আমাদের বর্তমান সমাজে নামাজ না পড়লে কেউ রাগ করে না। রাগ করে মসজিদে গেলে। কেউ নামাজ পড়ার জন্য জোর করে না, জোর করে মসজিদ থেকে চলে যাওয়ার জন্য। কিছু মসজিদে দেখি বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়া নিষেধ করা হয়েছে।  ফলে আমরা কি শিখি? অপরাধী হতে থাকি দিন দিন। আমি বলব ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের সঠিক নিয়মে শেখানো উচিত। তাহলে দেখবেন ভবিষ্যতে আমাদের অনেক অপরাধ কমবে। আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত ডান করুন। সবাই রমাজানে বেশি বেশি কোরআন পড়ুন আর আমল করুন। আর সময় পেলে আপনিও তারাবীর সময় মসজিদে থাকতে পারেন।


#সংগৃহীত_কারো_থেকে_মুখে_শোনা

No comments:

Post a Comment