চারপাশে অনেক অন্ধকার। খুব ভয় করছে। হথাৎ মনে হল কে যেন পেছন থেকে আমার কাথে হাত রাখল। তখন আমি একটি গন্ধ পেলাম। মনে হল খুব পরিচিত একটি গন্ধ। পেছনে কে আছে আমি অন্ধকারে দেখতে পাচ্ছি না। কাছে আমার মোবাইলটা নেই যে জবালিয়ে দেখব যে কে। তবে বুঝতে পারলাম কে। আমার পরিচিত একজন মানুষ সে। একটি মেয়ে। আমি ঠিক জানি না সে কি করে আমার খবর পেল এখানে। কি করে সে জানল যে মাই এখানে আছি। তবে প্রায় মাস দুয়েক পর দেখা হল তার সাথে। ভালোই লাগছে। আমি পেছনে ফিরলাম তাকে দেখার জন্য।
চারদিকে খুব অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আমি পিছনে তাকে দেখতে পেলাম না। আবারো খুব ভয় করছে।
আজ সকালে যখন আমি ক্যাম্পাসে যেতে বাসে উঠি তখন আমি দেখলাম বাসে কোন সীট নেই। আমাকে দারিয়ে যেতে হবে। হথাৎ কে যেন আমাকে পেছন থেকে ডাক দিল। বলল বসতে। সে উঠে দারাল।
"তাড়াতাড়ি বস। না হলে অন্য কেউ বসবে" কথাটি বলে সিনেমার ভিলেনদের মত জোরে আমাকে ধাক্কা মেরে বসিয়ে দিল।
আমি ভাবছি সে কোথায় বসবে। ১ মিনিট পর সামনের সীটের দাদু নেমে গেল আর তাকে কি যেন বলল।
"সাবধানে যাবেন।" ব্যাস দাদু নেমে গেল। এখন সেই সীটে সে। আমি পেছনে। আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিল সে।
আমি এখন বুঝতে পারলাম কেন সে দারিয়ে ছিল। আজ সকালটা মোটামুটি ভালোই ছিল। আমি আর সে কখনো একজন আরেকজনকে ছেরে কোথাও জেতাম না। বাস থামল আমরা নামলাম।
ক্যাম্পাসে এসে পড়েছি।
ও বলা হয় নি। বাসার সামনে আজ মারামারি হয়েছিল। তাই আমার সাথে সে বাসে উঠেছিল। বলা যায় আমার খবর নিতেই সে ছুটে আসে বাসার সামনে। যাই হোক আমারও ভালোই লাগল।
মনে আছে সেইবার যখন আমার জ্বর হয়, সে সারা দিন রাত আমার কাছে থাকত। আমার আম্মুকে সব সময় সাহস দিত।
ক্লাসের ফাকে ক্যাম্পাসের বনমায়াতে সবাই যখন আড্ডা দিচ্ছিল তখন আমরা দুজনে গান শুনছিলাম। মাঝে মাঝে অন্যদের কাণ্ড দেখে হাসাহাসি করতেছিলাম। ও খুব দুষ্টুমি করত। আমার অত দুষ্টুমি ভালো লাগত না।
আমাকে প্রথমে রাগাত তারপর রাগ ভাঙ্গাত। তার এই কাজ করতে খুব ভালো লাগত।
যাই হোক আমাদের বাসা থেকে রিক্সায় ১০ টাকা নিত তার বাসায় যেতে। তার বাসায় তার একটি সুন্দর বাগান আছে। সেখানে কিছু ফুল আছে। গোলাপ ফুটে থাকে সব সময়। আমি আসলেই ছেরে। আর সারা বছর যত্ন করে রাখে। কেউ ছিঁড়লেই তার বারোটা বাজিয়ে দেয়। কিন্তু আমি সবগুলি ছিরে ফেললেও সে খুব খুশি হয়।
ভার্সিটি শেষ হল। যার যার ক্যারিয়ার সে সে দেখতে লাগলাম। আমি চলে গেলাম বাইরের দেশে। তারপর সেখানে চার মাসের মত আছি। ছোট একটি জব পেলাম। আর ভালোই কাটতে লাগল। সে দেশে থাকল। মাঝে মাঝে ফোন দেই। খুব কান্না করে সে। আমিও একটু কাঁদি। ভীষণ মিস করি। এর ভেতর নাকি সে একটি জব পেয়ে যায়। যাই হোক অনেক দিন দেখা হয় না।
চারদিকে খুব অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আমি পিছনে তাকে দেখতে পেলাম না। খুব ভয় করছে। তখন শুনলাম সেই পরিচিত হাসি। তারপর মনে হল আমার কান একটি পরিচিত কণ্ঠ শুনছে।
প্রিয় কণ্ঠটি এভাবে শুনে আমি আরও ভয় পেয়ে গেলাম।
এত অন্ধকার হওয়ার কারন হচ্ছে দিনটি আমাবস্যা আর আজ আমি বাসার সামনের একটি পার্কের দোলনায় বসে আছি। সেখানেও লাইট ছিল না। কারন তাদের ইলেক্ট্রিসিটির কি যেন সমস্যা হয়েছিল।
আমার মোবাইলেও চার্জ ছিল না। লাইটও আনি নি। তবে অনেক দিন পর এমন অন্ধকার বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে আমার ভালোই লাগছিল।
চারদিকে খুব অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পরিচিত একটি গন্ধ ও কণ্ঠ শুনছি। এবার আমার হাত ধরে পার্কের বাইরে নিয়ে গেল। শেখানে যে রেস্টুরেন্টে আমাকে নিল তার আলোতে আমি দেখলাম। যেন ৪৪০ ইলেকট্রনিক শক খেলাম।
"তুমি! এখানে কিভাবে?"
"গতকাল এসেছি। ভাবলাম তুমি একা আছ তাই"
আমি আর সে তারপর অনেক ক্ষণ সেই রেস্টুরেন্টে ছিলাম।
অনেকদিন পর প্রিয় মানুষকে ফিরে পেলাম।
চারদিকে খুব অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আমি পিছনে তাকে দেখতে পেলাম না। আবারো খুব ভয় করছে।
আজ সকালে যখন আমি ক্যাম্পাসে যেতে বাসে উঠি তখন আমি দেখলাম বাসে কোন সীট নেই। আমাকে দারিয়ে যেতে হবে। হথাৎ কে যেন আমাকে পেছন থেকে ডাক দিল। বলল বসতে। সে উঠে দারাল।
"তাড়াতাড়ি বস। না হলে অন্য কেউ বসবে" কথাটি বলে সিনেমার ভিলেনদের মত জোরে আমাকে ধাক্কা মেরে বসিয়ে দিল।
আমি ভাবছি সে কোথায় বসবে। ১ মিনিট পর সামনের সীটের দাদু নেমে গেল আর তাকে কি যেন বলল।
"সাবধানে যাবেন।" ব্যাস দাদু নেমে গেল। এখন সেই সীটে সে। আমি পেছনে। আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিল সে।
আমি এখন বুঝতে পারলাম কেন সে দারিয়ে ছিল। আজ সকালটা মোটামুটি ভালোই ছিল। আমি আর সে কখনো একজন আরেকজনকে ছেরে কোথাও জেতাম না। বাস থামল আমরা নামলাম।
ক্যাম্পাসে এসে পড়েছি।
ও বলা হয় নি। বাসার সামনে আজ মারামারি হয়েছিল। তাই আমার সাথে সে বাসে উঠেছিল। বলা যায় আমার খবর নিতেই সে ছুটে আসে বাসার সামনে। যাই হোক আমারও ভালোই লাগল।
মনে আছে সেইবার যখন আমার জ্বর হয়, সে সারা দিন রাত আমার কাছে থাকত। আমার আম্মুকে সব সময় সাহস দিত।
ক্লাসের ফাকে ক্যাম্পাসের বনমায়াতে সবাই যখন আড্ডা দিচ্ছিল তখন আমরা দুজনে গান শুনছিলাম। মাঝে মাঝে অন্যদের কাণ্ড দেখে হাসাহাসি করতেছিলাম। ও খুব দুষ্টুমি করত। আমার অত দুষ্টুমি ভালো লাগত না।
আমাকে প্রথমে রাগাত তারপর রাগ ভাঙ্গাত। তার এই কাজ করতে খুব ভালো লাগত।
যাই হোক আমাদের বাসা থেকে রিক্সায় ১০ টাকা নিত তার বাসায় যেতে। তার বাসায় তার একটি সুন্দর বাগান আছে। সেখানে কিছু ফুল আছে। গোলাপ ফুটে থাকে সব সময়। আমি আসলেই ছেরে। আর সারা বছর যত্ন করে রাখে। কেউ ছিঁড়লেই তার বারোটা বাজিয়ে দেয়। কিন্তু আমি সবগুলি ছিরে ফেললেও সে খুব খুশি হয়।
ভার্সিটি শেষ হল। যার যার ক্যারিয়ার সে সে দেখতে লাগলাম। আমি চলে গেলাম বাইরের দেশে। তারপর সেখানে চার মাসের মত আছি। ছোট একটি জব পেলাম। আর ভালোই কাটতে লাগল। সে দেশে থাকল। মাঝে মাঝে ফোন দেই। খুব কান্না করে সে। আমিও একটু কাঁদি। ভীষণ মিস করি। এর ভেতর নাকি সে একটি জব পেয়ে যায়। যাই হোক অনেক দিন দেখা হয় না।
চারদিকে খুব অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। আমি পিছনে তাকে দেখতে পেলাম না। খুব ভয় করছে। তখন শুনলাম সেই পরিচিত হাসি। তারপর মনে হল আমার কান একটি পরিচিত কণ্ঠ শুনছে।
প্রিয় কণ্ঠটি এভাবে শুনে আমি আরও ভয় পেয়ে গেলাম।
এত অন্ধকার হওয়ার কারন হচ্ছে দিনটি আমাবস্যা আর আজ আমি বাসার সামনের একটি পার্কের দোলনায় বসে আছি। সেখানেও লাইট ছিল না। কারন তাদের ইলেক্ট্রিসিটির কি যেন সমস্যা হয়েছিল।
আমার মোবাইলেও চার্জ ছিল না। লাইটও আনি নি। তবে অনেক দিন পর এমন অন্ধকার বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে আমার ভালোই লাগছিল।
চারদিকে খুব অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। পরিচিত একটি গন্ধ ও কণ্ঠ শুনছি। এবার আমার হাত ধরে পার্কের বাইরে নিয়ে গেল। শেখানে যে রেস্টুরেন্টে আমাকে নিল তার আলোতে আমি দেখলাম। যেন ৪৪০ ইলেকট্রনিক শক খেলাম।
"তুমি! এখানে কিভাবে?"
"গতকাল এসেছি। ভাবলাম তুমি একা আছ তাই"
আমি আর সে তারপর অনেক ক্ষণ সেই রেস্টুরেন্টে ছিলাম।
অনেকদিন পর প্রিয় মানুষকে ফিরে পেলাম।
No comments:
Post a Comment