Monday, May 13, 2019

আমি তুমি সে সবাই ডিজিটাল চোর হতে চাই, ফেসবুকে গার্লফ্রেন্ডের আইডি চুরি করতে চাই



আগে মানুষ সোনা টাকা পয়সা চুরি হলে কষ্ট পেত। বর্তমানে মেমরি কার্ড, হার্ডডিস্ক এগুলি চুরি হলে চিন্তা করে। কি এমন জিনিস আছে হার্ডডিস্কে? কি আছে মেমরি ভর্তি যার জন্য এত কান্না, এত হাহা কার? গ্রাম ডাকাতি হলেও মানুষ এতটা কান্না করে না। খুব ভাবার বিষয়। এটা ডিজিটাল হারানো। আজকালের চোর গুলাও অনেক স্মার্ট। তারা টাকা চুরি করে না। চুরি করে এসব। কেননা এগুলি পেলে টাকা পয়সা এমনি আসবে। সব ফাস করার ভয় দেখিয়ে আরও অনেক কিছু হাতিয়ে নেবে তারা। এরকম ঘটনা অহরহ হচ্ছে আমাদের চারপাশে। আমরা আমাদের ঘরের তালা দেওয়ার সিস্টেম জানি কিন্তু আমরা ডিজিটাল জিনিসে তালা ঠিকমত দিতে পারি না। এই জন্য বর্তমানে আরও বেশি দুর্ভোগে আমাদের পড়তে হয়। বিশেষ করে হ্যাকিং এর ভয় করে আমাদের।
এখন আমাদের ঘরের ভেতর দরজা আছে। কিন্তু ডিজিটাল ঘরে দরজা নেই। কি করে দেয় সেই বিষয়েও আমাদের কম ধরনা। আর এই জন্য এত সমস্যা হচ্ছে। আজকাল চোরগুলি চোখের সামনে টাকা পয়সা সোনা দেখেও নেয় না। সবার আগে ওপেন করবে আপনার ডিভাইসটি। সেখান থেকে আগে প্রয়োজনীয় জিনস চুরি করবে। কি অদ্ভুত তাই না। সিদ কাটে না তারা, ভাঙে না তালা। নেয় শুধু ডিজিটাল ইনফরমেশন।
আমাদের চারপাশে অনেক চোর আছে যারা আগে কিন্তু চোর ছিল না। কেন জানেন? কারন আগে ডিজিটাল চুরি হত না। তাছাড়া মানুষের বাসার সামনে ঘুরাঘুরি করা থেকে কম্পিউটারে বসে বসে কিছু হাতিয়ে নেওয়া অনেক সহজ কাজ। চুরি এভাবেই হয় আর আমাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেক চোর। কে চোর না। এই ডিজিটাল চুরি আমরাও করেছি। আপনিও করেছেন। কারন আমরা গরীব দেশের মানুষ। আমাদের কেনার ক্ষমতা নেই। কিভাবে জানেন? প্রথমে বলব আপনি কম্পিউটারে যে উইন্ডোজ ইউজ করেন সেটা আপনি কিনে ইউজ করেন না। একটিভ করেন অবৈধ উপায়ে। এটা ক্রাইম এক ধরনের। উন্নত দেশে এগুলি করলে শাস্তি পেতে হয়। তাছাড়া আমরা ফেসবুকে যেভাবে অন্যদের ছবি দেখি এটি ঠিক নয়। পাশের বাড়ির আন্টির সামনে গেলে চোখ মাটির দিকে থাকে, দেখি না। মাঝে মাঝে তাকাই তার দিকে কিন্তু ফেসবুক দেখার সময় আশেপাশে কেউ থাকে না। আমরা জুম করে করে দেখি ভালো করে। এটি কি ঠিক। এভাবেই ডিজিটালের অপব্যবহার করছি আমরা এটি ঠিক নয়। ছোটবেলা কাউকে দেখি নি চুরি করা শিখতে। কেউ বলে নি যে ভাই আমাকে তালা ভাঙ্গা শিখিয়ে দিন আমি চুরি করতে চাই। কিন্তু ডিজিটাল যুগে আমরা শিখতে চাই ডিজিটাল চুরি। আমরা বলি যে, ভাই আমাকে ফেসবুক আইডি হ্যাকিং করা শিখিয়ে দিন। কার আইডি হ্যাক করবা? গার্লফ্রেন্ডের ফেসবুক। কি ঠিক বললাম তো? আমরা সবাই কম বেশি এই জিনিস করতে চেয়েছি। অনেকে সফল হয়েছি অনেকে হই নি। এটাও চুরি। এই চুরির শাস্তি বাসা বাড়িতে সিঁদ কেটে চুরির শাস্তি থেকে বেশি।
কি ভালো কাজ এইসব ডিজিটাল চুরি করা? আমাদের এসব কাজ দেখে বর্তমানে বড় বড় চোর গুলিও হা হা দেয়। তাদের চুরি আর আমাদের চুরি অনেক পার্থক্য। তারা সোনা গয়না টাকা পয়সা চুরি করে আর আমরা চুরি করি ডিজিটাল ডকুমেন্টস। যাই করি চোর তো চোরই। আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার? না আমিও চোর। আমার আর ওইসব চোরের ভেতর পার্থক্য নেই।
সবাই আমাদের দেশের ডিজিটাল আইন এর ধারা গুলি জেনে নিবেন। কারন আমরা অজান্তে অনেক ভুল করছি প্রতিনিয়ত অনলাইনে যার জন্য আমাদের আইনে অনেক শাস্তি আছে। কেউ চাইলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে কিচ্ছু করার থাকবে না। সবাই ভালো থাকবেন আর আমার জন্য দুয়া করবেন।

No comments:

Post a Comment