বর্তমানে আপনার সন্তান আপনার সামনে ভদ্র। সবাই বলে খুব ভালো। কিন্তু তার মোবাইল ধরলে জানতে পারবেন সে কেমন।
আরে ভাই ডিজিটাল জিগে অপরাধ খুব সহজ হয়ে গেছে। এখন আর বাইরে সবার সামনে গিয়ে করা লাগে না অপরাধ। ঘরে এসে মোবাইল অন করলেই হয়। আর দরজা বন্ধ করে যা খুশি করতে পারেন। ৪জি আছে না।
আপনি জানেন আপনার সন্তান ঘুমাচ্ছে পাশের রুমে। আসলে কি তাই? দরজা অফ, লাইট অফ।
কিন্তু না তার হাতে মোবাইল আছে, শুয়ে শুয়ে সে সারা রাত ইউজ করলেও আপনি কিছু করতে পারবেন না।
আমার মতামত আমি দিচ্চি, ভুল কিছু বললে ক্ষমা করবেন দয়া করে।
১। মেয়েরা আবেগি হয় ছেলেদের থেকে বেশি। আপনি তাকে মোবাইল দিলেন। ব্যাস, তার সব তথ্য অন্য ছেলের কাছে চলে গেল আপনি জানেনও না। তারপর কৌশলে তাকে কাছে পেতে চাইবে।
২। আপনি জানেন না আপনার বাসায় কেউ গোপনে জানালার ধারে কিছু রেখেছে যার ধারা আপনার তথ্য পাওয়া যাবে। ব্যাস আপনি বাড়ি থেকে চলে গেলেন আর চুরি হল।
৩। আপনার মেয়ে এখন বাসা থেকে সামনে গেলে প্রতিদিন তার রিক্সার পেছনে একটি বাইক যায়। কিভাবে একই সময় আসে সে। নিশ্চয় প্রযুক্তির মাধ্যমে জেনেছে।
৪। পর্ণগ্রাফি ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অভিশাপ।
৫। গুগলে আমরা সবাই সার্চ দিছি "কিভাবে মেয়ে পটাতে হয়" লিখে। ব্যাস আপনার ছেলে এখন এভাবে কাউকে পটাতে পারে
৬। টিকটক, মিউজিক্যালই ইত্যাদির কারনে মেয়েদের দেহ দেখে মজা নেয় ছেলেরা। ফলে তারা টার্গেটে পরিণত হয়। এগুলির একটি লিমিট থাকে। আপনি ভালো ভিডিও বানাতে পারলে কেন ইউটিউবার হচ্ছেন না?
৭। আবার সেই মোবাইল আর ডিজিটালের কথা বলব। আমাদের উচিত দেশের আইন করা উচিত যে ১৮ বছরের নিচে কারো হাতে মোবাইল দেওয়া যাবে না। আর শিখার জন্য কম্পিউটার বা মোবাইল দিতে পারেন তবে সব সময় নজরে নজরে রাখবেন। জানেন তো সব এখন ট্রেস করা যায়। কল লিস্ট, একটিভিটি ইন্টারনেটে সব দেখবেন প্রতিদিন। এখানেই আমাদের সমস্যা। কারন আমরা গরীব দেশ আর আমাদের বাবা মা মোবাইল আর ডিজিটাল অতটা বোঝে না। ফলে অপরাধ এড়ানো যায় না। পাশের বখাটে ছেলে তার মোবাইল ট্রেস করে তার যাওয়ার সময় পথে দাড়িয়ে থাকে। অথবা অন্য কোন ভাবে অপরাধ করে।
সুতরাং বর্তমানে অপরাধের অন্যতম কারন এই ডিজিটালের অপব্যবহার। এই বিষয় আমাদের বুঝতে হবে। যদি ১৮ বছরের নিচে কেউ মোবাইল না ইউজ করে তাহলে কিছু না হোক অন্তত ৫০% অপরাধ কমানো যাবে।
No comments:
Post a Comment