আসসালামুয়ালাইকুম। রমজানের শুভেচ্ছা সবাইকে। আজ আমাদের
প্রিয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ এর জন্মদিন। গতবছর এই দিনে আমাদের স্যাটেলাইট আকাশে
পাঠিয়েছিল আমাদের সরকার। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ইতিমধ্যে আমাদের অনেক কাজে
লেগেছে। আগামিতে আরও অনেক কাজে লাগবে। এই স্যাটেলাইটের পেছনে আমাদের সরকার অনেক
শ্রম দিয়েছেন। তাই আজকের লেখা
আমি স্যাটেলাইটের স্মরণে শুরু করলাম। আল্লাহ আমাদের স্যাটেলাইট অনেক দিন বাঁচিয়ে
রাখুন। নষ্ট যেন না হয়। আমাদের দেশের উন্নয়ন হোক আরও।
প্রচুর গরম পড়ছে আর আমারা অনেক অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। রোজার
সময় আমাদের আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে। এভাবে চললে আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে যাব। তাই রোজা
আর গরমে সুস্থ থাকতে আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। আমাদের খাদ্য অভ্যাস বদলাতে
হবে তাহলে আমরা ভালো থাকব।
আআমদের প্রধান
সমস্যা আমরা লোভনীয় খাবার দেখলে খেতে যাই। ফ্লী আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে
হয়। এই জন্য আমাদের খাবারে মেনু চেঞ্জ করতে হবে।
ইফতার আর সেহরিতে আমাদের প্রচুর পানি খেতে হবে । গরমে
সারাদিন শরীর থেকে অনেক পানি চলে যাচ্ছে আমাদের। তাই দিন শেষে আমাদের উচিত
এক্সট্রা ১ বা ২ লিটার পানি পান করা। গরমে পানি বেশি পান করলে সারাদিনের
কর্মক্ষমতা পাওয়া যায়। তাছাড়া আমাদের স্ম সময় চেষ্টা করতে হবে শীতল স্থানে থাকার।
কেননা শীতল স্থানে থাকলে কম ঘাম বের হবে শরীর থেকে। ফলে আমরা সুস্থ থাকব।
আমাদের উচিত ইফতারিতে ভাজাপোরা কম খাওয়া। ভাজাপোরা বেশি
খেলে আমাদের উপকারের বদলে বরং বেশি অপকার হবে। ফলে আমরা টিকতে পারব না। তাছাড়া পেট
খারাপ হলে আমাদের অনেক সমস্যা হবে। তাই আমাদের উচিত ভাজাপোরাকে না বলা। আমরা অন্য
খাবার খেতে পারি এই গরমে যা আমাদের জন্য আরামদায়ক আর উপকারি।
আমরা চাইলে ভাত খেতে পারি ইফতারিতে। কারন সারাদিন না খেয়ে
থাকার পর খুব ক্ষুধা লাগে। আর বাঙালীদের অন্যতম খাদ্য হল ভাত। ভাত খেলেই আমরা
ফ্রেস থাকি। ভাত আমাদের প্রান। আর আমাদের সকলের উচিত হেলদি খাবার ইফতারি ও সেহরিতে
রাখা। তাহলে গরমে কষ্ট কম হবে।
খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে ক্যালরি হিসাব করে খেতে পারেন।
যেমন আজ সারাদিন আপনার ৮০০ ক্যালরি খরচ হল, তাই আপনি ৮০০ ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে
নিলেই তো সমাধান হল তাই না। পানি খাওয়ার সময়ও একই বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। সারাদিন
যেমন ঘামবেন তত বেশি পানি পান করবেন তাহলেই হল। আর চেষ্টা করবেন ঠিকমত রুটিন মানা।
আপনি চাইলে একটি রুটিন বানাতে পারেন আপনার রোজার জন্য। যেমন
আপনি ইফতার করলেন। তারপর মাগরিব পড়লেম। দেন আপনি ৫০০ গ্রাম পানি খাবেন। এশা আর
তারাবী পড়ে এসে ডিনার সেরে নিলেন। তারপর শুয়ে পড়লেন। সেহরির সময় সেহ্রি করে নিলেন।
তারপর সময় শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জল খেতে থাকলেন। ব্যাস আপনার জলের ঘাটতি অনেক পূরণ
হয়ে গেল তাই না। এভাবে যা করলে আরও ভালো হয় তেম্ন রুটিন আপনি নিজে বানিয়ে নিতে
পারেন। ফলে আপনি সুস্থ আর ভালো থাকবেন।
আমাদের রোজার অন্যতম সমস্যা হল গ্যাস। সকলেরই এই সমস্যা হয়ে
থাকে। ফলে অনেক ভুগি আমরা। এই জন্য আমাদের উচিত নিয়ম করে সেহরির আগে ও ইফতার বা
ডিনারের সময় একটি গ্যাসের ঔষধ খাওয়া। যারা ভেষজ পছন্দ করেন তারা সেই সব গাছের রস
খেতে পারেন। তাছাড়া সারাদিনের লবণের ঘাটতি পুরনের জন্য স্লাইন খেতে পারেন। ফলে
আপনি সুস্থ থাকবেন।
এই গরমে এত কষ্ট করে সবাই রোজা থাকছেন। আল্লাহ নিজে সবাইকে
পুরস্কার দেবেন। তিনি সবই দেখছেন। আমাদের কষ্ট তিনি বুঝতে পারেন। আমাদের জন্য তিনি
কি না করেন তাই না। আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন প্লিজ। আমার
জন্য সবাই দোয়া করবেন আর ভালো থাকবেন।
No comments:
Post a Comment